কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হয়ে গেছে এবং আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) রাজ্য সরকারের বাজেট পেশ করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট নিয়ে রাজ্যের মানুষের নজর থাকবে। বিশেষত, বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন হওয়ায় এবারের বাজেটের গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে গেছে। বাজেটের মধ্যে একাধিক সামাজিক প্রকল্পের ঘোষণা হতে পারে এবং বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে বড় চমক আসার সম্ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে একাধিক রিপোর্টে।
এদিকে, রাজ্যবাসীর জন্য আরও একটি সুখবর! লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আরও নতুন সুবিধা বা তহবিলের সম্ভাবনা রয়েছে, যা রাজ্যের মহিলাদের জন্য আর্থিক সুরক্ষা আরও বাড়াবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে একাধিক মহিলাকে স্বাবলম্বী করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তাই, রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল, সবারই নজর এবারের বাজেট এবং লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ওপর।
এবারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম তুলতে প্রায় তিন লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে, যা একটি বড় সাড়া সৃষ্টি করেছে। তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যের প্রায় ২ কোটি ২১ লক্ষ মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন এবং তাদের মধ্যে অনেকেই আর্থিক সুরক্ষা ও স্বাবলম্বী হওয়ার দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধাভোগীদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে, এবং একাধিক নতুন সুবিধা প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এছাড়া, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে আরও অনেক মহিলার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চলছে, যাতে প্রকল্পের সুফল আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। রাজ্যবাসী এই উদ্যোগে যে বিপুল আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তাতে প্রমাণিত হচ্ছে যে, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প আজকের দিনে রাজ্যের মহিলাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায়তা হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা পান লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্কিমের সুবিধা। বর্তমানে এই প্রকল্পের অধীনে তপশিলি জাতি ও উপজাতি মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা এবং সাধারণ সম্প্রদায়ের মহিলারা, অর্থাৎ জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পান। প্রতিটি মাসের শুরুতেই এই ভাতা মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়।
গত বছর বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছিল। সম্প্রতি একটি সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, "লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাবে। যতদিন বাঁচবেন, ততদিন মা-বোনেরা এই ভাণ্ডার পাবেন। এটি তাঁদের ভাণ্ডার, এবং এটি ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকবে।" তাঁর এই বক্তব্যের পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান বাড়ানোর জল্পনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। বলা হচ্ছে, বর্তমান ১২০০ টাকার ভাতা ২০০০ টাকায় উন্নীত করা হতে পারে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও অফিসিয়াল ঘোষণা বা বিবৃতি দেওয়া হয়নি। সরকারি তরফে এখনো এই প্রসঙ্গে কোনও নিশ্চিততা পাওয়া যায়নি, তবে এই জল্পনা রাজ্যবাসীর মধ্যে অনেকটাই আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।